‘ফ্যাক্ট অর ভ্যালু’ বাংলা বক্তৃতামালা

কণাপদার্থবিদ্যা, রাজনৈতিক অর্থনীতি, প্রত্নতত্ত্ব, শিলালিপি-বিদ্যা, দ্বিভাষিকতা ও ঔপনিবেশিক চিড়িয়াখানা নিয়ে ৬টি বক্তৃতা, সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়।

৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর
সন্ধ্যা ৬:৩০
সিগাল বুকস, কলকাতা

আপনার সিট বুক করুন:
রেজিস্টার করুন

বিপুল এই বিশ্ব কি দিয়ে তৈরি? চেতনার উন্মেষের ঊষাকাল থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মানুষ। পঞ্চভূতের তত্ত্ব থেকে আজকের কণা পদার্থবিদ্যা—অনেক পথ আমরা পেরিয়ে এসেছি। সাম্প্রতিককালে হিগস কণা আবিষ্কার সেই পথের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তবে, অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও আমাদের জানা নেই, তাই বিরাম নেই পথ চলারও। সেই পথচলার, নিরন্তর অনুসন্ধানের কিছু কথা এই আলোচনার বিষয়।

মানুষের পরিচয় বহুমাত্রিক।  ভাষা, জাতি, শ্রেণী, ধর্ম, লিঙ্গ ইত্যাদি বিভিন্ন পরিচয়ের ভিত্তিতে আমাদের সমাজ বহুধা বিভক্ত। কিন্তু আমাদের জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে একেকটি সময়ে একেকটি পরিচয় মুখ্য হয়ে উঠেছে।  এই মুখ্য পরিচয়-সঞ্জাত বিভাজনের ভিত্তিতেই জাতীয় সম্পদের বন্টন ঘটেছে—এবং রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়বিন্দুতে বিভিন্ন দলের উত্তানপতন ঘটেছে। আমরা দেখব, কিভাবে নানান অর্থনৈতিক অভিঘাতে ভারতবর্ষে এই মুখ্য পরিচয়ের বিবর্তন ঘটেছে।

এমন খুব কমই ঘটে যখন পুরাণ, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান একই বিন্দুতে মিলিত হয়। ঋগ্বেদে উচ্চারিত সরস্বতী নদীর শ্লোক আদি অনন্ত কাল থেকে সাক্ষ্য বহন করে। কবিদের ভাষায় সরস্বতী ছিল স্রোতস্বিনী, তেজস্বিনী নদী, হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে সমুদ্রে মিশেছিল। আজ তার ভূগোল ঘগ্গর-হাকরা-নারা শুষ্ক নদীতট। হরপ্পা ধ্বংসাবশেষে প্রশ্ন জাগে—সরস্বতী সত্যিই বহমান ছিল? কবে? সংযোগ কী? যা নেই অথচ আছে আমাদের।

বঙ্কিমচন্দ্র থেকে শুরু করে নীরদচন্দ্র চৌধুরী হয়ে ঝুম্পা লাহিড়ী,  একালের একাধিক বাঙালি সাহিত্যিক শুধু যে দুটি ভাষায় লিখেছেন তাই নয়, এ কে রামানুজনের কথা ধার করে বললে, দুটি ভাষার ভেতরে বেঁচেছেন। এই দ্বিভাষিকতায় বাঁচা কীভাবে বিষয় নির্বাচন থেকে শুরু করে লেখার ফর্মকে প্রভাবিত করে? এই নিয়েই বর্তমান লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে খোলামেলা আলাপচারিতা।

প্রাচীন অভিলেখমালা কখনো বিভ্রান্তিকর কখনো আবার তারা অতি প্রগলভ, তাদের নৈঃশব্দ কখনও বা তাদের উচ্চারিত শব্দের থেকে অধিকতর গুরুত্ববাহী। প্রত্নলেখতাত্ত্বিকগণও এই অনুচ্চারিত স্বর শুনে তার থেকে অতীত অনুধাবনের চেষ্টা করেন। আমরা এখানে কিছু অভিলেখমালা নিয়ে আলোচনা করবো এবং প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে তাদের গুরুত্ব অন্বেষণের প্রয়াস করবো।

ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের ছাত্র ওয়াল্টার হিপে ১৮৯১ সালে কলকাতায় এসে বাঁদরের প্রজনন ও ঋতুচক্র বুঝতে কাজ করেন। কেন্দ্র: ক্যালকাটা জুওলজ্যিক্যাল গার্ডেন্স। মথুরা থেকে ২০০ ও বারাণসী থেকে ৩০ মহিলা রিসাস ম্যাকাক আনা হয়; উপযুক্ত থাকে মাত্র ১৭টি। সহায়: প্রফেসর ডেভিড ডগলাস ক্যানিংহাম। বোটানিক্যাল গার্ডেনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত। গ্রাম-সংলগ্ন বাঁদরের উপস্থিতি সত্ত্বেও স্থানীয় জ্ঞান অল্প—ঔপনিবেশিকতা, বিশেষজ্ঞতা ও নতুন জ্ঞানের জটিল টানাপোড়েন।